যৌতুকের জন্য ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে বালিশ চাপায় হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী

 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শ্বশুরবাড়িতে হোসনা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধুকে বালিশ চাপায় হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর থেকে স্বামী সুজন মিয়া পলাতক রয়েছে।

শুক্রবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের হিরারকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত হোসনা আক্তার ওই এলাকার আয়নল হকের মেয়ে। পলাতক সুজন মিয়া শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার খাইরুল ইসলামের ছেলে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, আনুমানিক এক বছর আগে পারিবারিকভাবে সুজন মিয়ার সাথে বিয়ে হয় হোসনা আক্তারের। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য প্রায়ই তাদের মাঝে ঝগড়া হতো। শুক্রবার সুজন মিয়া স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। বেড়াতে আসার পর রাত ৮ টার দিকে যৌতুকের টাকা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে ঝাগড়া হয় সুজনের। ঝগড়ার পর রাতের খাবার খেয়ে সুজন ও হোসনা একসাথে ঘুমাতে যায়।

সকালের দিকে হোসনাকে ঘরে একা বিছানায় এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারের লোকজন। এসময় সুজন মিয়াকে ডাকাডাকি করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে হোসনা আক্তারকে ডাকাডাকি করলেও সে কোন সাড়া দেয়নি। এমতাবস্থায় হোসনা আক্তার মারা গেছে বুজতে পেরে পরিবারের লোকজন চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করে।

পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হোসনা আক্তারকে যৌতুকের টাকার জন্য বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর সুজন পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। সুজন মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share & Like
Share & Like