ভাগনাকে ফাঁসাতে গিয়ে মামা রবিন ভূইয়া নিজেই ফেঁসে গেলেন

গাজীপুরের আপন ভাগনা সৈয়দ জহির আহসান জাহিদকে হত্যাকারী হিসেবে ফাঁসাতে গিয়ে মামা রবিন ভূইয়া নিজেই ফেঁসে গেলেন
নিহত ইদ্রিস হত্যার মুল আসামীর মদদ দাতা ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মুল পরিকল্পনাকারী আসামি বঙ্গবন্ধুর হত্যার ফাঁসির আসামি পলাতক কর্ণেল রশিদের মেয়ের জামাতার বড় বোন সুফিয়া জিনাত ওরফে বিহারী ঝিনুর আপন দেবর ও তার দুই ছেলে (ক) সাকিব মোহাম্মদ মুক্তাদি (রুহান) এবং (খ) হাসিব মোহাম্মদ মুক্তাদি (রাফফান) আপন চাচা খুনি, সন্ত্রাস, জমি দখল, চাঁদাবাজি, লুটতারাজ এবং সম্পত্তি আত্মসাৎকারী রবিন ভূইয়ার জামিন না মঞ্জুর।
আজ অদ্য রোববার, ৩/৪/২০২২ হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের ডাইরেকশন নিয়ে আদালতে আত্নসমর্পন করার জন্য আবেদন করিলে। গাজিপুর বিজ্ঞ আদালত ইদ্রিস হত্যা মামলার দুইজন সনাক্তকারী আসামীর স্বীকারোক্তি ও জবানবন্দির কারণে সুফিয়া জিনাত ওরফে বিহারী ঝিনুর আপন দেবর ও তার দুই ছেলের আপন চাচা রবিন ভূইয়ার আত্নসমর্পণ না মঞ্জুর হয় এবং গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
হত্যা কান্ডের মুল নায়ক রবিন ভূইয়ার গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় নিজ বোনের অর্থাৎ সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের মায়ের জমি আত্মসাৎ করতে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করে আপন ভাগিনা সৈয়দ জহির আহসান জাহিদকে খুনের মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে মামা নিজেই ফেঁসে গেছেন। এ ঘটনায় ভাড়াটে খুনি মো. দুখু মিয়া ওরফে সুমন (২২) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
নিহত ইদ্রিস আলী (৩০) কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের সালুয়াটেকি এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুর জেলা পিবিআই’র পরিদর্শক হাফিজুর রহমান মামলাটি তদন্ত শুরু করেন এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেন গাজীপুর পিবিআই।
বিগত ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের সালোয়াটেকি এলাকার ভূঁইয়ার বাড়ির পুকুর পাড় থেকে ইদ্রিস আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল কাপাসিয়া থানা পুলিশ। পরবর্তীতে কাপাসিয়া থানা পুলিশ মামলাটি প্রায় চার মাস তদন্তে কোন ক্লু খোঁজ করতে না পেরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করেন।
পিবিআই তদন্তের প্রমাণিত হয়েছে গত দুই বছর আগে ইদ্রিস হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুর রব ভূঁইয়া ওরফে রবিন ভূঁইয়া। সে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোকের মুতালিব ভূঁইয়ার ছোট ছেলে।
রবিন ভূইয়ার আপন বড় ভাবি সুফিয়া জিনাত ওরফে বিহারী ঝিনু ও আপন ভাতিজাদ্বয় (ক) সাকিব মোহাম্মদ মুক্তাদি (রুহান) এবং (খ) হাসিব মোহাম্মদ মুক্তাদি (রাফফান) আমেরিকান প্রবাসী তারা সেখান হইতে অর্থের মদদ দাতা এবং ছোট ছেলের শশুড় জড়িত তিনি একজন আর্মি অফিসারসহ বিভিন্ন সময়ে অর্থ প্রদান ও কু-পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করে আসিতেছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতেছেন। আর্মি অফিসারে প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে বিভিন্ন সংস্থা হতে বিশেষ টীম তৈরী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।