ধোবাউড়ায় অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধারকৃত যুবতী হত্যার মুলহোতা আটক।

সেলিনা কবীর।। ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় মঙ্গলবার সকালে গোয়াতলা ইউনিয়নের টাংগাটি গ্রামে পাকা রাস্তার পাশে ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর ডিবি পুলিশ এবং ধোবাউড়া থানা পুলিশের তৎপরতায় মিললো লাশের পরিচয়। আটক করা হয়েছে গাজীপুরে থাকা হত্যার মুলহোতা গোয়াতলা ইউনিয়নে টাংগাটি গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী মন্ডলের ছেলে আঃ রাজ্জাককে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুই মাস আগে গাজীপুরে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে পরিচয় হয় গার্মেন্টসকর্মী রিভা আক্তারের। নরসিংদীর মাধবপুর উপজেলার খিলগাঁও গ্রামের অটোচালক দুলাল মিয়ার মেয়ে রিভা।
পরিচয়ের সুত্র ধরে, রিভাকে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ ও এক পর্যায়ে বিয়ে করেন রাজ্জাক। বিয়ের পর রাজ্জাকের গাজীপুরের গাছা রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় যাতায়াত ছিল তরুণীর।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ মার্চ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশে এক যুবকের জন্মনিবন্ধনের কাগজ পায় তারা। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দেওয়া আব্দুর রাজ্জাক তার ভাতিজা ও ভাইকে ফাঁসাতে গাজীপুর থেকে রিভাকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া কংশ নদের পাশে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখে।
মরদেহের পাশে ভাতিজার জন্ম নিবন্ধনের কাগজ ফেলে রাখে রাজ্জাক। জন্মনিবন্ধনের সূত্র ধরেই শহিদুল্লাহকে আটকও করে পুলিশ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার মূল হোতা আব্দুর রাজ্জাককে দুইদিন পর বুধবার (১৬ মার্চ) অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আরও দুইজন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে ঘাতক রাজ্জাক। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে।