অধিনায়ক শিপনের গোলেই জয় ছিনিয়ে আনলো MZS – 92 ব্যাচ।

ময়মনসিংহ থেকে ওবায়দুল হকের প্রতিবেদন।
ময়মনসিংহে ১৩ তারিখ শুরু হলো দেশের সর্ববৃহৎ স্কুল ভিত্তিক ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্ট “ফুটসাল”।
আর আয়োজনটি করেছে ময়মনসিংহের খ্যাতনামা বিদ্যাপিঠ ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃ্ন্দ MZS স্পোর্টস ক্লাব।
এই খেলায় অংশগ্রহন করেছে সব প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রীড়া নায়করা।
এখানে ফুটবল টীম হিসাবে অংশগ্রহন করেছে প্রায় পয়তাল্লিশ টি টীম আর ভলিবল টীম হয়েছে ষোলটি।
এই ব্যাতিক্রমী আয়োজন দেশে এটাই প্রথম ফুটবল ও ভলিবলের জন্য।
এই খেলার উদ্বোধন করেন স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষকা।
এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৭১ সালের খেলোয়াড়দের ও উপস্থিত করতে পেরেছে এই খেলার আয়োজক কমিটি যা দেশের আর কোথাও এমন মিলনমেলা করতেই পারেনি।
এখানে এখন আর কাউকে খেলোয়ার হিসাবে বলা যায় না বলে আয়োজক কমিটির রাজিবের সঙ্গে কথা হয়।
আয়োজক কমিটির আরো তিন জন মন্টি, বুলবুল, ও বাবু জানান এটা আমাদের মিলন মেলা।
আমরা “নিলাদেবী” নামে একটা প্রতিযোগিতায় খেলতাম সবাই। সেই কথা আমরা ভুলতেই পারিনা।
সেই শৈশবস্মৃতির কথা মনে করেই আমাদের এই মিলনমেলার আয়োজন ছোট বড় সবাইকে নিয়েই। এক কথায় বলা যায় ছোট ভাইয়ের ডাকে বড় ভাই সাড়া দেয়া, আর বড় ভাইয়ের ডাকে ছোট ভাইয়ের সাড়া দেয়া।
“কথায় আছে সৌহার্দ্য সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।”
ঠিক যেনো তাই প্রমান করলো MZS স্পোর্টস ক্লাবের ছোট বড় সকলেই।
এবার বলতেই হয় খেলোয়ারদের খেলার কথা।
১৯৯২ ব্যাচ আর ১৯৯৫ ব্যাচ ঠিক যেনো পাক্কা ফুটবল টীম কেউ কাউকে নাহি ছাড়ি।
মনোমুগ্ধকর এই খেলাটি সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়।
খেলা. ৩০ মিনিটের।
মনে হয়েছিলো যেনো পুরো মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছে দুই টীম।
খেলা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মাথায়ই ১৯৯২ ব্যাচের অধিনায়ক শিপন তার পূর্বের খেলাটি দেখিয়ে দিলেন। খেলোয়ার আর খেলা কাকে বলে।
মনোমুগ্ধকর একটি গোল ১৯৯৫ ব্যাচের গোলকিপার কে পরাস্ত করে বল পাঠালেন পোষ্টের জালে।
১৯৯২ ব্যাচের হয়ে বেশ ভালো খেলেছেন শান্ত, অধিকাংশ সময়ই বল ছিলো তার পায়ে শিপন- শান্ত ক্যামেষ্ট্রী ছিলো বেশ ভালো।
ভালো খেলেছেন মিন্টু ও রিপন ব্যাক সাইডে। ষ্টাকিং এ সব সময় সরব ছিলো মুন্না, লিপু আর স্বপন।
১৯৯২ ব্যাচের গোলরক্ষক সোহাগ তার আগের খেলা ভুলেননাই তার খেলায় প্রমান করে দিলেন।
বল কে সব সময় যেনো নিজের আপন মনে করে নিজের কোলেই তুলে রাখতে পেরেছেন।
অপরপক্ষে ১৯৯৫ ব্যাচের খেলোয়াড়রা ৫ মিনিটের শুরুতেই গোল খেয়ে মরিয়া হইয়া উঠিয়া পরিয়া লেগেও কোন সুযোগই তৈরী করতে পারেনি শিপন – শান্ত বাহিনীর সাথে।
তবে ১৯৯৫ ব্যাচের বেশ ভালো খেলেছেন সোহেল ও শরীফ।
সবশেষে ১৯৯২ ব্যাচ ০১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ত্যাগ করে।
আর ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পদক পেয়ে শিপন খেলোয়াড়ী জিবনে পদকের ঝুলিতে আরেকটি পদক বাড়ালেন।
বেশ উত্তেজনাপূর্ন খেলা ছিলো এটি। খেলা হবে তিনদিন।বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলবে খেলা।