ছেলের প্রেমের অপরাধে মাকে হাত পা বেঁধে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ছেলের প্রেমের অপরাধে লাইলী বেগম (৩৮) নামে একনারীকে হাত পা বেঁধে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত লাইলী বেগম মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইলী আক্তারের মৃত্যু হয়।
এর আগে ওই সকাল ১১ টার দিকে মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় ওই নারীর হাত পা বেঁধে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত লাইলী বেগমের স্বামী আব্দুর রশিদ বলেন, আমার প্রতিবেশি খোকন ওরফে কাজল মিয়ার মেয়ে খোকির (১৭) সাথে আমার ছেলে সিরাজুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক্য ছিল। সম্প্রতি ওই মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকে। বিষয়টি মেয়ে জানতে পেরে গত রবিবার (২৬ জুন) আমার ছেলে সিরাজুলের সাথে খোকি পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তুতি নেয় স্থানীয়রা।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় আজ (রবিবার) সালিশ হওয়ার কথা ছিল। সকাল ৮ টার দিকে আমি কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলে মেয়ের মা কনা আক্ততার, চাচি নাসরিন, আসমা ও রুমা বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর হাত পা বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এমন খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরে গুরুতর আহত অবস্থায় লাইলীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন। সন্ধ্যার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইলীর মৃত্যু হয়।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এই ঘটনায় নিহতের স্বামী ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ ঢাকা থেকে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তারে একাধিক টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।