তারাকান্দায় মাদ্রাসা ছাত্রী কে অপহরণের ঘটনায় মামলা।

ডেস্ক রিপোর্ট ।। ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের বিসকা গ্রাম থেকে এক মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় তারাকান্দা থানায় মামলা হয়েছে। ২৯ জুলাই শুক্রবার ছাত্রীর বাবা আঃ মান্নান বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অপহৃত ছাত্রী ভাটিয়াপাড়া মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী। মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে বিসকা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শান্ত মিয়া(২২) বিভিন্ন ভাবে তাকে কুপ্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অপহরণের হুমকি দেয়। ঘটনাটি অপহৃত ছাত্রীর পিতা-মাতা জানতে পেরে শান্ত কে সাবধান করে। এতে শান্ত মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের সুযোগ খুজতে থাকে। ঘটনার দিন গত২৮ জুলাই ( বৃহস্পতিবার) রাত ৮ টার দিকে মাদ্রাসা ছাত্রীর বাড়িতে শান্ত মিয়া সহ সহযোগী অজ্ঞাত নামা
১০/১৫ জন লোক পূর্বপরিকল্পিত ভাবে মোটর সাইকেল যোগে বাড়িতে প্রবেশ করে
ছাত্রীর কলেজ পড়ুয়া ভাই জাহাঙ্গীর আলম (২২)কে কিল ঘুষি মেরে ঘর থেকে বের করে রশি দিয়ে লিচু গাছের সাথে বেঁধে কোমড়ের বেল্ট ও লোহার চেইন দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এ সময় ঘরে থাকা ছাত্রীর মা এবং বৃদ্ধা দাদী চিৎকার করলে কয়েকজন মিলে বৃদ্ধা সুফিয়া বেগম( ৭০)কে হাতে দা দিয়ে কুপ দিয়ে গুরুতর আহত করে। মা শেফালী বেগম মেয়েকে নিয়ে অন্য একটি রুমে লুকানোর চেষ্টা করলে তাকে লাথি মেরে অজ্ঞান করে মেঝেতে ফেলে দিয়ে আহত করে। এ সময় ঘরের আলমারী ভেঙে টাকা পয়সা,স্বর্নালঙ্কার লুট করে ছাত্রী কে হাত মুখ বেঁধে জোড়পূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে ফিল্মিস্টাইলে অপহরন করে নিয়ে যায় শান্ত মিয়া ও তার সহযোগীরা। আহতদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখতে পায় আহত ৩ জন পড়ে আছে এবং তাদের কাছ থেকে জানতে পারে ১০/১৫ লোক মোটরসাইকেলে এসে বাড়িতে প্রবেশ করে তাদের উপর আক্রমন করে এবং তাদেরকে মেরে আহত করে মেয়েকে হাত মুখ বেঁধে জোড়পূর্বক অপহরন করে নিয়ে পালিয়েছে বিসকা দক্ষিন পাড়া গ্রামের অটোচালক দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শান্ত মিয়া(২২) ও ছোট ভাই অন্তর মিয়া(১৮)গংরা।
মেয়ে উদ্ধারের জন্য তাৎক্ষনিক তারাকান্দা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আবুল খায়ের পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়ে ভিকটিম উদ্ধারের আশ্বাস দেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিকটিম উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।