নির্যাতনে নিরীহ ব্যাক্তির মৃত্যূর অভিযোগ, মামলা নেয়নি পুলিশ।।

স্টাফ রিপোর্টার।। ময়মনসিংহের সূতিয়াখালাীতে রফিকুল ইসলাম (৫০)নামে এক নিরীহ ব্যাক্তি কে নির্যাতনের পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ। শনিবার বিকেলে এমন অভিযোগ করেছেন মৃত রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী মোছাঃ ফরিদা খাতুন।
নিহত রফিকুল ইসলাম বা.কৃ.বি হর্টিকালচারে শ্রমিক হিসাবে কাজ করত।
মোছাঃ ফরিদা খাতুন বলেন, গত ৪ আগষ্ট জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ সেলিম মিয়া,নবী হোসেন,হবি মিয়া,হাবি মিয়া সর্ব পিতা মৃত ইদ্রিস আলী, সাং সূতিয়াখালী,(ছইন্নার বাড়ি) আজিজুল পিতা আঃ মজিদ গংরা গভীর রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামী রফিকুল ইসলাম এর উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার স্বামীর ডাক চিৎকারে আমি সহ আমার ছেলে রকিবুল ও আমার শ্বাশুরি জরিনা খাতুন এগিয়ে আসলে তারা আমাদের কেও মারধোর করে। পরদিন সকালে উল্লেখিত বিবাদীরা আবার ও আমার স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে মারধোর শুরু করলে আমার স্বামীর অবস্থা বেশী খারাপ দেখে বিবাদীরা নিজেরাই আমার স্বামীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে। উক্ত ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ আগষ্ট আমার স্বামী মারা যায়।
ময়নাতদন্ত শেষে রফিকুল ইসলাম এর লাশ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।
ফরিদা খাতুন অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
রফিকুল ইসলাম এর ছেলে রকিবুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের ঘটনা কে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার বাবাকে পাগল আখ্যায়িত করে অপ প্রচার চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা পাগল হলে বা. কৃ.বি তে কাজ করত কিভাবে? পাগল হলে নিশ্চয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘসময় তাকে কাজে রাখতোনা।
অপরদিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা না নেয়ায় বিবাদীরা বিরোধ পূর্ণ জমি জোড় পূর্বক তাদের দখলে নিতে গত ১৬ আগষ্ট দুপুরে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে মারধোর,ভাঙ্চুর ও লুটপাট চালিয়ে নগদ দশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বর্তমানে নির্যাতিত পরিবার টি বিচারের আশায় এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরছে।