ময়মনসিংহে ৪০০’শ টাকার জন্য দাখিল পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আটকে রাখার অভিযোগ

ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ
সারাদেশে ১৯ জুন ২০২২ ইং এস এস সি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারনে সরকারের নির্দেশে স্হগিত করা হয় সকল পরীক্ষা কিন্তু সেই সময় থেকে ময়মনসিংহের তারাকান্দার বিসকা ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ২০২২ ইং সনের দাখিল পরীক্ষার্থীর সকল প্রবেশপত্র টাকার জন্য আটকে রাখেন মাদ্রাসা সুপারঃ আঃ গণি।পর্যায়ক্রমে প্রতিটা পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে চাপ দিয়ে কেন্দ্র ফি’র কথা বলে ৪ শত টাকা করে জোড়পূর্বক আদায় করে। আগে টাকা পরে তাদের হাতে দিচ্ছে প্রবেশপত্র। সুপারঃ আঃ গণি পরীক্ষা শুরুর শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত। মাদ্রাসার এবারের দাখিল পরীক্ষার্থী হিজবুল বাহার তুহিনের প্রবেশপত্রটি সুপারের নির্দেশে কেরানী আঃ মোতালেব আটকে রাখে। ২ দিন ঐ ছাত্র প্রবেশপত্র আনতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেয় এবং বলে ৪ শত টাকা দিলে প্রবেশপত্র দিবে না হয় দিবে না।প্রবেশ পত্র না পেয়ে ঐ পরিক্ষার্থী বাসায় চলে আসে।এমতাবস্হায় ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং কেরানী আঃ মোতালেব পরীক্ষার্থী তুহিনের বাবার মোবাইলে ফোন করে সাড়ে ১১ টার ফোন দিয়ে বলে আপনি কি এডমিট কার্ড নিবেন না আমরা কার্ডটি কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিব।তখন আমি বললাম এডমিট নিতে কি লাগবে তখন সে বলে ৪ শত টাকা দিলে এডমিট কার্ড নিতে পারবেন না হলে আমরা কার্ডটি কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিব।টাকা ছাড়া এডমিট দেওয়া হবে না একপ্রকার জোড় গলায় বলে কথাটি কেরানী আঃ মোতালেব।পরে আবার সুপারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি লাইন কেঁটে দেন।
ভূক্তভোগী ছাত্রের পিতা বিষয়টি মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত কে জানানো হলে সে বিষয়টি দেখছি বলে কথা দেন।এবিষয়ে পরে সাধুপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ মোয়াজ্জেম হোসেন আজমীকে মোবাইলে জানানো হলে সে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন আমি পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপারের দায়িত্বে আছি ছেলেকে নিয়ে সকালে সেন্টারে আসেন সব দেখছি আমি।
এবার ভাটিয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী মোট ৪৬ জন।প্রতিজনের কাছ থেকে ফরম পুরনের সময় ২৫০০/-থেকে সর্বনিম্ন ২০০০/-টাকা করে নিয়েছে কিন্তু বোর্ড ফি মাত্র ১৪০০/- টাকা করে এবং বোর্ডের নিয়ন অনুযায়ী ফরম ফিলাপের সময়ই বোর্ড ফি এবং কেন্দ্র ফি এক সাথে নেয়া হয় এবং এটাই নিয়ম এখন যেটা আদায় করছে সবটা অবৈধ জোড় করে প্রবেশপত্র আটকিয়ে।
সুপারঃ গনি শুধু এটা করেই ক্ষান্ত নয় সে অত্রপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করেই যাচ্ছে।গোপনে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি করেছে জমি দাতাকে বাদ দিয়ে এবং অত্র মাদ্রাসার নামে জমি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছে।গোপনে নিয়োগ বানিজ্য করেছে লাখ লাখ টাকা।ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্যদের সাথে আদালতে তার নামে মামলা চলমান রয়েছে।
সব মিলিয়ে মাদ্রাসায় সে বড় ধরনের কর্মকান্ডসহ ঘুষ নিয়োগ বানিজ্য প্রত্যেক ক্লাসে প্রত্যেক পরীক্ষার সময় ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফিস আদায় করে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যদি সঠিক তদন্ত করেন তাহলেই সুপারের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে এলাকার সুশীল সমাজের প্রত্যাশা।