হলুদ বর্ণে ছেয়ে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠ এ যেন হলুদ রাজ্য !!

সেলিনা কবীর।। সারাদেশে ফসলের মাঠে যেন হলুদের মেলা বসেছে । প্রতিটি এলাকায় ফসলের মাঠে এখন চোঁখ জুড়ানো হলুদ রংয়ের সমাহার। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে ওই রংয়ের উৎসব এনে দিয়েছে সরষে ফুল। যা প্রকৃতিতেও ভিন্নমাত্রা এনে দিয়েছে। এ রংয়ের মেলায় যেন প্রকৃতি তার আপন খেলায় বড়ই ব্যস্ত সময় পার করছে। সরষে ফুলের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা কৃষান-কৃষাণী অথবা শিশুর দল অন্যরকম চিত্র সৃষ্টি করছে। সারাদেশ ব্যাপী প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ফসলের মাঠ সেঁজেছে অপরুপ সাঁজে। দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে সরষে ফুলে মোড়া ক্ষেতগুলো। মৌমাছির দল এবং প্রজাপতি সরষে ফুলে পাখা মেলে মধু আহরণ করছে। ছবি তোলার লোভ সামলাতে না পেরে শীতের সকালে অথবা পড়ন্ত বিকালে সরষে মাঠে গিয়ে, হলুদের মাঝে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে ছবিও তুলছেন অনেকে। হলুদ রংয়ের মাঝে তোলা ছবি গুলো যেন প্রাণে দোলা দেওয়ার মত।
চলতি বছরে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বিভিন্ন গ্রামের সরিষা চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এবার প্রতি বিঘা জমি থেকে ৬-৭ মণ সরিষা উৎপাদন হবে। সরিষা চাষের অনুকূল পরিবেশের কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে বিভিন্ন উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর। চলতি বছরে সরিষার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে । গত বছরেও কৃষকেরা লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে সরিষা চাষ করে লাভবান হয়েছিল।
গ্রামের কৃষকরা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সরবোচ্চ ৪-৫হাজার টাকা। প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় ৩-৪হাজার টাকা করে। প্রতি বিঘাতে ৭-৮মণ সরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা লাভ করা যায়। এ ছাড়া সরিষা চাষে তেমন সেচের প্রয়োজন হয় না।
শম্ভপুরা ইউনিয়নের রামগোবিন্দের গাও গ্রামের সরিষা চাষীরা জানান, আশা করছি অন্য বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে। সরিষার তেলে রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। আর সরিষার খৈল জমির উরবরা শক্তি বৃদ্ধি করে।
এবিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান,কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করনের মাধ্যমে সরিষার চাষে অধিক আগ্রহ বাড়ানো হয়েছে রবিশস্য চাষের এবার অনুকূল পরিবেশ ছিল। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশ পেলে মানুষ সরিষা আরও বেশি করে আবাদ করবে।