সবুজায়নের ধারক বাঁশবাড়ী কলোনী।

 

শিকদার আবু তালেবের  প্রতিবেদন —

ময়মনসিংহ নগরীর সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নাম্বার ওয়ার্ড যেনো এখন সবুজায়নের ধারক এখন।ধারন করেছে সবুজ বাগান,টব, নানা প্রজাতির বৃক্ষরাজির সমারোহ৷
নামে কলোনী হতে পারে কিন্তু একত্রী করনে নেই কোন কমতি৷ বস্তির সকলে যেনো বুঝিতে দিতে চেষ্টা করলো গাছ ও মানুষের প্রানের আবাসস্থল। একত্রিত করতে পেরেছে পুরো বস্তিবাসী কে৷ নেই হৈচৈ নেই কোন রকম কোন্দল। আছে আনন্দ কোলাহলের সুবাতাস। কল্পনাই করতে পারেনি কেউ বস্তিবাসী সবাই মিলে একটা সুন্দর সুশ্রী শোভন পরিবেশ তৈরি করতে পারবে৷ দেখতে এখন অনেক দর্শনার্থী ভীড় জমায় এসব সবুজ আয়োজন। কিভাবে করলো তারা এই আয়োজন। আসলে সবাই মিলে চেষ্টা করলে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।
সবাই নিজ উদ্যোগেই করে নিয়েছে তাদের এমন আয়োজন৷ নিজ নিজ টাকায় টব কেনা,যার যার পছন্দ অনুযায়ী ফুলের গাছ কেনা, বিনা মৌসুমের ফলের গাছ কেনা বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহারের শোভিত করে রাখা রং করে আরো সুন্দর সুশ্রী পরিবেশ তৈরি করা৷ এটা আসলে পরিদর্শন না করে কেউ বলতেই পারবে না সবুজ কতো সুন্দর হতে পারে৷ একটা বিষয় সুস্পষ্ট ভাবেই এলাকাবাসী বলেছে, এবং পরিসংখ্যানেও তাই প্রকাশ পায় যে একটা বস্তিতে এটাই বাংলাদেশের প্রথম উদ্যোগ যা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়ে বস্তিকে শোভন করে তোলা।
হতেই পারে ছাদবাগান, হতেই পারে ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে বাগান করে জিবনধারন করা, কিন্তু এই আয়োজন টি শুধু ই বস্তির নিজেদের একত্রিত করে একটা সুশ্রী পরিবেশ তৈরি করা।
এতো চমৎকার আয়োজন দেখে পরিদর্শন করতে এতটুকুও কার্পণ্য করেন নি মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তিনি আর ঘরে বা অফিসে বসে থাকেন নি৷ ছুটে এসেছেন এই চমৎকার আয়োজকদের মাঝে। মনমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। এবং মসিক মেয়র বলেই গিয়েছেন এই আয়োজন ধরে রাখতে। আমি আপনাদের পাশেই আছি৷ বস্তিতে একটা লাশ ধোয়ার রুম আছে, একটা খেলার মাঠা আছে, ছোট ছোট দোকানপাঠ রয়েছে, আছে এখন পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। দেখতে বেশ লাগে নগরীর এই বস্তির একত্রিকরনের জন্য।
এসবের নায়ক যাকে বলে উদ্দোক্তা “মুরাদ” যেনো সবাইকে একটা তাক লাগিয়ে দিলো। তাদের কে এখন আর বস্তিবাসী বলাই ভুল হবে৷ এদের এই সুশ্রী আয়োজন থেকে সমাজ কে কিছু অন্তত শিখে নিতেই হবে৷ যা আগে কেউ কখনো করেই দেখাতে পারেনি৷
প্রতিবেদকের নানা প্রশ্নের জাবাবে একটা সময় প্রশ্ন আসে বৃষ্টির সময় এখানে পানি ডোবা ডোবা থাকলে কি করেন তখন সবাই।
একবাক্যে এলাকাবাসী  বলে দেন প্রত্যেকে প্রত্যেক কে সহযোগিতার কাজে এগিয়ে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share & Like
Share & Like