তারাকান্দায় চাঁদার দাবীতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট
স্টাফ রিপোর্টার।। ময়মনসিংহের তারাকান্দায়
দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা প্রবাসীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। গত( ১ মার্চ) সকালে তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন এর সাদুল্লাপুর এলাকার মোঃ ফয়েজ উদ্দিন এর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত ফয়েজ উদ্দিন এর ছেলে মোঃ সাইফুল আলম কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সাইফুল আলম মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় (২ মার্চ) তারাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং ০৪
স্থানীয়রা জানায়, সাদুল্লাপুর গ্রামের মোঃ ফয়েজ উদ্দিন এর প্রবাস ফেরত ছেলে সাইফুল আলম দীর্ঘ ১২ বছর সৌদি আরব প্রবাস জীবন কাটিয়ে বর্তমানে কাশিগঞ্জ বাজারে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে। সাইফুল আলম এর দুই ভাই আব্দুল আওয়াল,ও এনামুল হক বর্তমানে সৌদি আরব প্রবাসী।
ভুক্তভোগী মোঃ ফয়েজ উদ্দিন জানান,
গত ০১ মার্চ সকালে আমার নির্মাণাধীন ৩ তলা ঘরের ছাদের কাজ চলাকালীন তোতা মিয়া, দেলোয়ার ওরফে দিলিপ ও লুৎফর গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বসত বাড়ীতে এসে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন আমি ও আমার ছেলে সাইফুল আলম প্রতিবাদ করলে সংঘবদ্ব চাঁদাবাজ চক্রটি ধারালো রাম দা, লোহার বড় ও বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে অনধিকারে আমার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার ছেলেকে মারপিট শুরু করে। দেলোয়ার ওরফে দিলিপ এর হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলে সাইফুল আলম এর মাথায় কোপ দিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং আসামী মা: রাফাত মিয়ার হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের মাথায় কোপ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আসামী আনাছ মিয়ার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের ডান হাতের কুনুই এর উপরে বারি মেরে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম করে। আমার ছেলে মাটিতে পরে থাকার সুযোগে আসামী তোতা মিয়া তাহার দুই হাত দিয়া আমার ছেলের গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমার ছেলেকে উদ্ধার করার জন্য আমি এগিয়ে গেলে লিটন মিয়া আমাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। একপর্যায়ে আসামী বিল্লাল মিয়া, মল্লাছ আলী, আনোয়ারগন আমার বসত ঘরের টিনের বেড়া, দরজা, জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে অনুমান ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকার ক্ষতিসাধন করে। আসামী খাইরুল আমার বসত ঘরে ট্রাংকে থাকা রক্ষিত ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) টাকা নিয়া যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশে লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে হুমকি দেয় যে, ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে, ঘর নির্মাণ করতে দিবে না ঘর নির্মাণ করিলে আমাদেরকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে চলে যায়। পরে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলে মো: সাইফুল আলম (৩৫) কে জরুরী চিকিৎসার জন্য সিএনজি যোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করি।
এঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী মোঃ ফয়েজ উদ্দিন।