তারাকান্দায় একশ বছরের বৃদ্ধার আর্তি! সন্তান’রা ভাত দেয়না! মারার জন্য গলা চেপে ধরে

ডেস্ক রিপোর্ট।। ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বিসকা ইউনিয়নের বাতিকুড়া এলাকার মরহুম সদর আলীর একশত্তোর্ধ বয়সের স্ত্রী ফুল বানু। ঘরে এক কন্যা ও পাঁচ ছেলেকে রেখে মারা যায় তার স্বামী। দুঃখে কষ্টে লালন পালন করে বড় করেছেন সন্তানদের। কন্যা বিবাহিত জামাই দিনমজুর। ছেলেদের মধ্যে চার জন বিভিন্ন পেশায় জড়িত। অপরজন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দপ্তরীর চাকরি করেন। তার স্ত্রী একটি কলেজে আয়ার কাজে নিয়োজিত। সবাই একই বাড়িতে থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বৃদ্ধা মা ফুলবানু কোনো ছেলের কাছ থেকে ভাত কাপড় পায় না। পায় না ঔষধ খরচের টাকা। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তার দু’বেলার ভাত জুটে কচু লতি, কলার থোর সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে।এমন খবর শুনতে পেরে বৃদ্ধার সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিনি জানান, তার সন্তানদের কেউ ভাত,কাপড় দেয়ার তো দুরের কথা কেউ খোঁজ খবরও নেয় না। উপরন্তু আমাকে তাদের বোঝা মনে করে প্রায়ই মারতে এসে টুটি চেপে ধরে। কিছুদিন পূর্বেও দপ্তরি ছেলে জালাল আমার পায়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে পা ভেঙে ফেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর সাথে এই নিষ্ঠুর ঘটনা নিয়ে কথা বললে তিনি জানান ওই পরিবারের সন্তানরা আমার কোনো কথা আমলে নিচ্ছে না। পাড়ার কারো কথাও মানতে চায় না। বার বার তাদের মাকে ভরন পোষন দিতে বলা হলেও তারা তা আমলে নিচ্ছে না। উল্টো ওই পরিবারের নারীরা পাড়ার লোকজনকে গালাগাল করে আসছে তাদের মা’র পক্ষ নেয়ার অভিযোগ তুলে। মেম্বার জানায় বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে বয়ষ্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। ওই টাকায় তিনি ঔষধ খাচ্ছেন।
এই বিষয়টি জানতে দপ্তরি ছেলে জালাল এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। অন্য ছেলেদের সাথে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।