ময়মনসিংহে বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট থানায় অভিযোগ দায়ের।

স্টাফ রিপোর্টার।। ময়মনসিংহের তারাকান্দায়
এক নিরীহ পরিবার এর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। গত( ১৬ এপ্রিল ) রাতে তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়ন এর কাগচর এলাকার মোঃ গোলাম রসুল এর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় (১৭ এপ্রিল ) তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী মোঃ গোলাম রসুল জানান,
গত (১৬ এপ্রিল) রাতে আমার বাড়ির সামনে দোকানে প্রতিপক্ষের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষের খসরুর নেতৃত্বে, আঃ গণি,আঃ সাত্তার গংরা আমার বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গোলাম রসুল বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী গোলাম রসুল জানান, অভিযুক্তদের সাথে আমাদের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার সময় সকল অভিযুক্তরা সহ অজ্ঞাত নামা আসামীরা রাম দাঁ, রড, শাবল, কুড়াল, গুলফি, ডেগার ও বাশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় মারাত্বক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে-আইনীজনতাবদ্ধে একই উদ্দেশ্যে অনধিকার আমাদের বসতবাড়ীর বাইরের আঙ্গিনায় প্রবেশ করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও খুন জথমের উদেশ্যে ডাকাডাকি করতে থাকে। তখন আমি অভিযুক্তদের কে গালাগালি করতে নিষেধ করলে খসরু হুকুম দিয়ে বলে ওদেরকে স্ব-পরিবারে খুন করে ফেল। এ হুকুম পাওয়ার সাথে সাথেই সকল অভিযুক্তরা আমাকে ধরে তাদের হাতে থাকা লোহার বড ও বাশের লাঠি দিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারি ভাবে পিটিয়ে নীলাফুলা বেদনাদায়ক জখম করে। উক্ত ঘটনা দেখে আমার ছোট ভাই মোঃ সোলাইমান (২১) অভিযুক্তদের কবল থেকে আমাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে সকল অভিযুক্তরা এলোপাতারি ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ও লোহার রড, বাশের লাঠি দিয়ে সোলাইমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে নীলাফুলা বেদনাদায়ক জখম করে। তখন আঃ গণি,ও আঃ সাত্তার আমার ছোট ভাই সোলাইমানকে জাপটে ধরে বাখে এবং অপু মিয়া দু-হাতে সোলাইমানের গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আমি সোলাইমানকে অভিযুক্তদের কবল থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে নাজমুল ইসলাম, রফিক মিয়া আমার গলায় গামছা পেচিয়ে দুইজনে দুদিক হতে স্ব- জোরে টেনে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সকল অভিযুক্তরা তাদের হাতে থাকা অস্ত্রশস্ত্রাদি দিয়ে আমাদের পশ্চিম ভিটির টিনসেড বসতঘরের দরজা-জানালা, টিনের বেড়া ও বিভিন্ন আসবাবপত্র বাইরাইয়া, কোপিয়ে ভাংচুর করে ৫৫,০০০/-(পঞ্চান্ন হাজার) টাকার ক্ষতিসাধন করে। এই সুযোগে জিয়া উদ্দিন, লাল মিয়া তাদের হাতে থাকা অস্ত্রশস্ত্রাদি দিয়ে বসতঘরের দরজা ভেঙে ভীতরে প্রবেশ করে রফিক মিয়ার সহযোগীতায় জিয়া উদ্দিন ঘরে থাকা সুকেশের ড্রয়ারের তালা ভেঙে ড্রয়ারে রক্ষিত আমার হাফ বিল্ডিং বসত নির্মাণের নগদ১১,৩৫,০০০/-(এগার লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকা নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনা দেখে আমার ভাবি মোছাঃ হোসনে আরা বেগম(৩০) অভিযুক্তদের ফিরানোর চেষ্টা করলে বাবু মিয়া আমার ভাবিকে স্ব-জোরে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং রাহাত মিয়া আমার ভাবির গলায় থাকা ১টি ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, যার মূলা-৬৫,০০০/-(পয়ষটি হাজার) টাকা টান মেরে ছিরে নিয়ে যায়। তখন রাকিব মিয়া আমার ভাবি হোসনে আবার চুলের মুঠি ধরে টানাহেচরা করে মাটিতে ফেলে ও পড়নের কাপড়চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় আমরা অভিযুক্তদের কবল থেকে প্রাণে বাঁচার আশায় ডাকচিৎকার করতে থাকলে অভিযোগে উল্লেখিত স্বাক্ষীগন সহ আশেপাশের অনেকেই এসে অভিযুক্তদের কবল থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে। তখন উল্লেখিত অভিযুক্ত সহ অজ্ঞাত নামা অভিযুক্তরা তাদের হাতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র উচিয়ে হুমকি দিয়ে বলে, আজ প্রাণে বাঁচিয়া গেলি, ঘটনার বিষয় নিয়া মামলা-মোকদ্দমা করলে সযোগমত পাইলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো বলে মারাত্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে একযোগে তাদের বাড়ীর দিকে চলে যায়। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে তারাকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে কতক স্বাক্ষীগণের সহায়তায় আমার ছোট তাই সোলেমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎস্য করাই ও আমি এবং আমার ভাবি হোসনে আরা স্থানীয় ডাক্তার এর মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী গোলাম রসুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share & Like
Share & Like